মাতৃত্বকালীন দাগ দূর করতে এলোভেরা

মাতৃত্বকালীন দাগ দূর করতে এলোভেরা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয় মুখের ব্রণের দাগ দূর করতে আলোরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই অ্যালোভেরা। তাই মহিলাদের তথা কিশোর কিশোরীদের প্রাকৃতিক রূপচর্চার প্রধান প্রসাধনী হিসেবে কাজ করে থাকে অ্যালোভেরা।

শুধুমাত্র মাতৃত্বজনিত দাগ দূর করতে এলোভেরা কাজে লাগে না। এটা বিভিন্ন রকম ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে হিসাবেও কাজ করে থাকে। এছাড়াও ঘরোয়া হিসাবে হিসাবে ব্রণ, মুখের কালো, দাগ দূর করতে অ্যালোভেরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন ফাটা দাগ দূর ক্রিম হিসাবে এলোভেরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

পৃথিবীতে যতগুলো প্রাকৃতিক গুণাবলী ভরপুর উদ্ভিদ রয়েছে তার মধ্যে এলোভেরা অন্যতম একটি একটি উদ্ভিদ। এটাকে মানুষ বিভিন্ন রকমে ব্যবহার করে থাকে। কেউ এটাকে ত্বকের জন্য ব্যবহার করে থাকে। আবার কেউ এটাকে শরীরের \ বিভিন্ন রকম দাগ দূর করার ক্রিম হিসাবে ভারতে থাকে।

নারীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে মাতৃত্বকালীন সময়। এ সময় হরমোন জনিত কারণে মেয়েদের বিভিন্ন রকম শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় । যার ফলে শরীরে বিভিন্ন রকমের মেছতার দাগ সহ ব্রনের দাগ হয়ে থাকে যা দেখতে খুবই খারাপ লাগে। এ সময় শরীরে বিভিন্ন রকমের কালো দাগ বিভিন্ন জায়গায় ফাটাফাটা ভাব দেখা যায়।

অর্থাৎ তাদের শরীরে পরিবর্তনের কারণে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দৃষ্টিকটু পরিবর্তন দেখা দেয়, বিশেষ করে মুখমন্ডলে মেছতার দাগ, চোখের নিচে কালো দাগ ইত্যাদি দাগ দেখা যায়, যা দেখতে খুবখারাপ লাগে ।

ইউহি দাগ দূর করতে এলোভেরা বিভিন্নভাবে কাজ করে থাকে এবং এলোভেরা খুব সহজলভ্য একটি উদ্ভিদ যা সংগ্রহ করে কোন প্রসেসিং ছাড়াই সরাসরি ব্যবহার করা যায়। যার ফলে মেয়েরা এই উদ্ভিদকে খুব বেশি পছন্দ করে এবং প্রয়োজনীয় মনে করে।

মাতৃত্বকালীন সময়ে একজন মেয়ের শরীরে যে পরিবর্তন দেখা দেয় ,তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ত্বকের অমুসৃণতা বা কালচে ভাব । যা দেখতে খুবই খারাপ দেখা যায় । যার ফলে মেয়েরা বাহিরে বেড়াতে ভয় বা লজ্জা পায় এবং হীনমন্যতায় ভোগে থাকেন।এই সমস্যা দূর করতে এলোভেরা খুবই কার্যকরী  পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।

বিশেষ করে যেসব মায়েরা গর্ভবতী তাদের যে শরীরে বিভিন্ন রকম কালো দাগ দেখা যায়, সেগুলো দূর করার ক্ষেত্রে এলোভেরার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ।এই দাগ অপসারণ করার জন্য অ্যালোভেরা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়। কেউ ব্যবহার করে সরাসরি পাতা সংগ্রহ করে , কেউবা আবার ব্যবহার করে প্রসেসিং করে, আবার কেউ কেউ এটাকে বিভিন্ন রকম পেস্ট  বানিয়ে ব্যবহার করে থাকেন।

এ সময় মেয়েদের শরীর বৃদ্ধি পেতে থাকে, যার ফলে শরীরের মাংসপেশীরও বৃদ্ধি হয়ে থাকে। সেজন্য শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায় কোন জায়গায় অনাকাঙ্খিতভাবে শরীরেক্রাচ বা ফেটে যায় বা ফাটা ফাটা ভাব অনুভূত হয় ।এই ফাটা ভাব দূর করার জন্য অ্যালোভেরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে ।

অ্যালোভেরা ত্বককে ময়চারাইজ করে , তখন উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং স্টিয়া কমাতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় । এছাড়া নিয়মিত ব্যবহারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও জলপান ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক করে তুলে এলোভেরা অর্থাৎ এলোভেরা ব্যবহারের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। তারপরেও যদি সমস্যার সমাধান না হয় সেক্ষেত্রে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

মহিলাদের পেটে যখন বাচ্চা আসে তখন হরমোনের পরিবর্তন জনিত কারণে শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় । যার ফলে মুখে বিভিন্ন রকম কালছে রং এবং ছুলি দেখা যায়। সে সময় রূপচর্চার জন্য কৃত্রিম কোন কিছু ব্যবহারের চাইতে ন্যাচারাল ও ভেষজ হিসেবে অ্যালোভেরা পাতা ব্যবহার করা অনেক ভালো। কেননা, এইটা ব্যবহার করলে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়  না। যার ফলে মানুষ নিশ্চিন্তায় ইহা ব্যবহার করতে পারে।

সুতরাং মহিলাদের প্রাকৃতিক উপায় রূপচর্চার জন্য অ্যালোভেরা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন রকমের অবাঞ্ছিত কালো দাগ এবং বিভিন্ন জটিল চর্ম রোগের সমস্যা সমাধানও পেয়ে থাকে এই এলোভেরা পাতার ভিতরে লুকায়িত জেলের মাধ্যমে । কাজেই আমরা নিশ্চিন্তভাবে মুখের ব্রণের দাগ দূর করার জন্য প্রতিদিন সকাল বিকাল দুইবার এলোভেরা জেল ব্যবহার করে হালকা কুসুম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে অনেক উপকার পেতে পারি।

অতএব মুখের ব্রণ বা ত্বকের কালো দাগ দূর করার জন্য এই অ্যালোভেরা মহিলা  তথা  বিভিন্ন মানুষ ত্বকের যত্নে এর ব্যবহার করে থাকে।  তাই দিন দিন এই অ্যালোভেরা ব্যবহার ও গুরুত্ব বেড়ে উঠছে বিশেষ করে, কিশোর কিশোরী ও মহিলাদের কাছে ।এছাড়াও যুবক যুবতী ত্বকের লাবণ্যতা  উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ব্যবহার করে আসছেন । যার ফলে দিন দিন ইহারগুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।