চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

 

আপনি কি চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার জানতে চান? তাহলে আমাদের এই পেজ ভালো পড়ুন। একমাত্র প্রাকৃতিক উপায়ে নিম পাতায় পারে চুলকানি দূর করতে। নিমপাতা মানুষের শরীরের ক্ষত স্থানের ব্যাকটেরিয়া দূর করা সহ বিভিন্ন রকম চর্মরোগ দূর করে থাকে।

এইটা একটি ঔষধি গাছ ।এই গাছের ফল পাতা সবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মানুষের কাজে আসে। যা দিয়ে মানুষ তার রোগে নিরাময় করে থাকে। এই পাতার রস ক্রিমিনাশক হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে কাজ করে।

পেজ সূচিপত্র: চুলকানিতে নিমপাতা যেভাবে জাদুকর হিসেবে কাজ করে, তা জেনে নেই

নিম পাতার রস বেঁটে মুখের ব্রন দূর করতে

মুখ ভর্তি ব্রণ, দাগ? নিমপাতার গুঁড়ো, পেস্ট সকাল বিকাল নিয়মিত লাগান, দুই সপ্তাহের মধ্যে ও ব্রণ দাগ নিরাময় করে, এটা নিয়মিত ব্যবহারে মুখের ব্রণ সহ মুখের মসৃণতা ফিরে আসে এবং মুখের বিভিন্ন দাগ দূর করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, যা দিন দিন ত্বক আরোও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

চুলকানিতে এই পাতার ব্যবহারের পাশাপাশি আমাদের জানা উচিত , চুলে নিম পাতার ব্যবহার, মুখে নিম পাতার ব্যবহার, খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়, ব্রনের জন্য নিম পাতার ব্যবহার,  তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নিম পাতার ব্যবহার, খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয, নিম পাতার ক্ষতিকর দিক, নিম পাতার উপকার ও অপকারিতা ইত্যাদি বিষয়ে জানা দরকার।

আরো পড়ুন: কিভাবে ফ্রি লটারি খেলে প্রতিদিন ইনকাম করা যায়

ছত্রাকের ইনফেকশন দূর করতে নিম পাতার বাবহার

ছত্রাকের ইনফেকশন জনিত যেকোনো সমসা দূর করতে এহা খুব দরকারি একটা পাতা যা মানুস যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে। এই পাতা শুকিয়ে ছত্রাক নাশক জায়গায় সকাল বিকাল প্রতিদিন নিয়মিত লাগালে চুলকানির অনেক উপশম হয়। এক কথায় বলা যায় ছত্রাকে জনিত ঘা ফাঙ্গাস দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার অপরিসীম। যা বিনা টাকায়, মানুষ আল্লাহর আল্লাহর প্রদত্ত সেবা পেয়ে থাকে।

এলার্জি জনিত চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

প্রিয় পাঠক এলার্জি জনিত চুলকানি দূর করতে যেভাবে পাতাগুলো আগে সংগ্রহ করবেন তা নিম্নে দেওয়া হলো:

  • প্রথমে গাছ থেকে নিম পাতা সংগ্রহ করতে হবে
  • এবার পাতাগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে
  • তারপর রোদে ভালো করে শুকাতে হবে
  • শুকনো পাতাগুলো মেশিনে গুঁড়ো করতে হবে
  • এরপর তা কাঁচের পাত্রে তা ভালোভাবে সংগ্রহ করতে হবে

এবার জানবো সংগ্রহকিত শুকনো পাতাগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয়:

  • শুকনো পাতাগুলো পড়ে মন মত একটি কাপে নেব
  • এরপর কিছু বিশুদ্ধ পানি পরিমাণ মত মিশ্রিত করব
  • এরপর ক্ষতস্থানে হালকাভাবে লাগাবো
  • এছাড়াও পেস্ট বানিয়ে চুলকানি স্থানে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বলে অনেক আরাম পাওয়া যাবে

তাছাড়া বেশি উপকার পেতে চাইলে প্রতিদিন খালি পেটে নিমপাতার রস নির্দিষ্ট পরিমাণ সেবন করতে হবে। এছাড়া গরম পানির সাথে নিমপাতা মিশিয়ে নিয়মিত গোসল করলে চুলকানি অনেক নিরাময় হয়।এছাড়াও নিমপাতা পেস্ট বানিয়ে নিয়মিত রূপ সোসাই ব্যবহার করা যায় যার মাধ্যমে মুখের বরুন কমে যায় ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

একজিমা জনিত চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

প্রিয় পাঠক একজিমা জনিত চুলকানি দূর করতে নিম পাতার অনেক গুণাবলী রয়েছে, তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।

  • দূর করতে নিম পাতার কিছু জাদুকরি উপায়:
  • প্রথমে নিমপাতাপরিষ্কার করে ধুয়ে পাটায় বেটে নিতে হবে,
  • এরপর ভালো করে পাটাই বেটে নিতে হবে
  • তারপরে ক্ষতস্থানে এক থেকে দেড় ঘণ্টার আগে রাখতে হবে
  • এভাবে প্রতিদিন দুইবার অন্তত লাগাতে হবে এবং এক ঘন্টা সময় মত নাইরে রাখতে হবে

এছাড়া এই একজামা দূর করতে এর সাথে কিছু হলুদ গুড়া পুদিনা পাতা লেবুর রস মিশ্রিত করে একজিমার স্থানে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে এত করে জাদুকর হিসেবে কাজ করবে এছাড়াও আরো অনেক উপায় রয়েছে যেমন

  • হলুদ ও নিম পাতা ফেসপ্যাক তৈরি করে নিয়মিত লাগানোর মাধ্যমে অ্যাজমার অনেক উপসম পাওয়া যায়
  • পেঁপে ও নিম পাতার ফেসপ্যাক ব্যবহারের মাধ্যমে এজমা দূর করা যায়
  • তুলসী ও নিমপাতার ফেসপ্যাক তৈরি করে তা লাগানোর মাধ্যমে আজমা দূর করার উপায়

খুশকি জনিত চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

মাথায় খুশকি এক ধরনের চর্মরোগ। যা শীত কালে বেশি হয় ,গরমকালে একটু কম থাকে। এই খুশকির যন্ত্রণায় মানুষ বিভিন্ন রকম কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকে, যা মাথার চামড়ার ক্ষতি সাধন করে থাকে এবং চুল পড়ে ঝরে যায়। 

মাথায় টাক পড়ে দেখতে অনেক খারাপ লাগ এবং মানুষের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এমনকি মানুষের বিভিন্ন রকম মাথার সমস্যা হয়ে থাকে । তাই এই সমস্যার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন রকমের ঔষধি হিসেবে নিম পাতার ব্যবহার মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। যা মানুষের জন্য খুবই কল্যাণকর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

নিম্নে ইহার উপকারিতা তুলে ধরা হলো:

  • নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খাটিয়াসিড থাকে যার ফলে মাথার ত্বক ও চুল ভালো থাকে।
  • নিম পাতা পাতায় বেটির মাথায় লাগাইলে ত্বক ও চুলের উভয়ের উপকার হয়।
  • নিম পাতা সিদ্ধ পানির সাথে মিশিয়ে গোসল করলে চুলও মাথার উপকার হয়।
  • নিম পাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করলে মাথার চামড়া ভালো থাকে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

আরো পড়ুন: শিশুর মানসিক বিকাশে করণীয়

নিম পাতা চুলকানি ও পাঁচড়া দূর করতে ইহার ব্যবহার

প্রিয় পাঠক আগে আলোচনা করা হয়েছে, নিমপাতা এক ধরনের ভেষজ উদ্ভিদের পাতা যা মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।এই পাতার গুণাবলী বলে শেষ করা যাবে না । ইহা আসলেই একটা খুব উপকৃত গাছ হিসাবে বাংলাদেশে তথা সারা বিশ্বে বিবেচিত যা সর্বদাই মানুষের কাজে আসে।

নিম্নে চুলকানি ও পাঁচটা দূর করতে ইহার ব্যবহার তুলে ধরা হলোঃ

  • প্রথমত পাতাগুলো গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
  • তারপর সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে
  • ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর খুব কড়া রোদে সেগুলো শুকাতে হবে
  • তারপর পরিষ্কার একটি কাঁচের পাত্রে ভর্তি করতে হবে
  • এইগুলা পাউডার তেলের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার লাগাতে হবে।
  • শুধুমাত্র ক্ষত স্থানে পাউডার লাগিয়েও কাজ হবে
  • বিশেষ করে সরিষার তেল অথবা নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে লাগালে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

নিম পাতার রস খালি পেটে খেয়ে চর্মরোগ দূর করতে

নিমপাতা মানুষের স্বাস্থ্য গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এই বিষয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানে বিভিন্ন গবেষণা করেছেন।নিম পাতার রস মানুষের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই পাতার রস এক মাসের উপর খেলে উপকারের চাইতে অপকার বেশি হবে। কাজে জেনেশুনে এই উদ্ভিদে পাতার রস সেবন করতে হবে করতে হবে, তবেই সঠিকভাবে মানুষের উপকারে আসবে।

নিম্নেএর উপকারিতা পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলোঃ

  • ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে
  • শরীরের টক্সিন দূর করে
  • ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে
  • বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা দূর করে থাকে
  • আরো অনেক উপকার সাধন করে থাকে

নিম পাতার রস গায়ে মেখে চুলকানি দূর করতে এর ব্যবহারঃ

নিম পাতা মানুষের বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে থাকে।এই গাছ যার পরিবারে থাকে তাদের পরিবারের অসুখ-বিসুখ কম হয়ে থাকে। শুনে বুঝতে পারছেন নিম পাতার উপকার কত গুরুত্বপূর্ণ। এই পাতা গাছ থেকে সংগ্রহ করার পর পাতা রস ভালো করে সংগ্রহ করে ,চুলকানি স্থানে ব্যবহার করে করে অনেক উপকারে পাওয়া যায়। তবে এটা সংগ্রহ করার নিয়ম রয়েছে, যা সঠিকভাবে সংগ্রহ করে সেই রস ব্যবহার করতে হবে। সঠিকভাবে সংগ্রহ করতে না পারলে তা কোন উপকারে আসবে না বরং ক্ষতি হবে।

খোস-পাঁচড়া চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নিম পাতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যা লিখে শেষ করা যাবে না। তারপরেও প্রিয় পাঠক ভাইদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা তুলে ধরেছি। তবে এই পাতা সর্বদাই এবং চুলকানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যা মানুষ যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে এবং এর ফলাফল ভোগ করে আসছে সুতরাং মানুষের শরীরের খোস পাঁচড়া ও চুলকানি রোধ করতে নিমপাতর গুরুত্ব অপরিসীম।


নিম্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলোঃ

নিম পাতা গাছ থেকে সংগ্রহ করে তারপর পরিষ্কার করে সেগুলোকে সুখে পেস্ট বানিয়ে ক্ষত স্থানে ব্যবহার করতে হয় কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ দিন ।

  • নিম পাতার গুড়া ঘি এর সাথে ভেজে মিশিয়ে গুড়া করে সেগুলো ক্ষতস্থানে লাগালে চর্মরোগ উপশম হয়।
  • নিম পাতা বা ফুল পাটায় বেটে গায়ে কয়েকদিন নাগালে চুলকানি দূর হয়।
  • শুকনো গুঁড়া পাতা তেলের সাথে মিশিয়ে গায়ে লাগালে চুলকানি

পোকামাকড় কামর জনিত চুলকানি দূর করতে নিম পাতা

আমরা মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে আমাদের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে জড়িত থাকতে হয় । যার কারণে বন জঙ্গল থেকে শুরু করে সর্বত্রই মানুষের বিচরণ করতে হয় যার ফলে কোন না কোন কারণে মানুষের পোকামাকড় কামড় খেতে হয় এবং এর প্রতিষেধক হিসাবে নিমপাতা তৈরি ওষুধ ব্যবহারের ফলে মানুষ আরোগ্য লাভ করে থাকে।

যা প্রতিদিন নিয়মিত ব্যবহারের ফলে সকল ধরনের পোকামাকড়ের কামড় জড়িত সমস্যা দূর করে।মানুষকে সাবেক জীবন যাপন করে দেয় সহজ করে দেয় এবং মানুষের দৈনন্দিন সকল কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চালাতে সাহায্য করে।

লেখকের শেষ কথা:

যেকোনো ধরনের চুলকানি এবং ক্ষত জনিত বিভিন্ন রকমের সমস্যা দূর করার জন্য উদ্ভিদ জনিত যেসব ওষুধ রয়েছে ,তার মধ্যে নিম পাতা অন্যতম। সুতরাং একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ যদি তার শরীরের সঠিক পরিচর্যা নিতে চায় ,বা সঠিক চুলকানির সমস্যা সমাধান চায় , তাহলে অবশ্যই তাকেএই উপরে লেখাগুলো তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে কাজ করবে। যা একজন মানুষের জীবন চলার পথে সহজ করে দিবে।

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমার এই পেজে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো পাঠ করে, আপনার উপকার হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট করবেন এবং প্রতিনিয়ত এইরকম অসংখ্য আর্টিকেল আপনি পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমার এই পেজ ফলো করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url