জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয়

 

জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয় কি? প্রায় অভিভাবকদের কাছ থেকে শোনা যায় বাচ্চার ওজন কম । আসলে কি তাই? একেবারে খুব বেশি জন ভালো নয়, আবার কমও ভালো নয়।এমন একটা ওজন হতে হবে যা বাচ্চার জন্য যথা উপযুক্ত।
সুতরাং জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে ,আমরা বলতে পারি সে সকল অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে যে কেবলমাত্র ওজন বৃদ্ধি হলেই তাকে সুস্থ সন্তান বলা যাবে না। সুস্থ সন্তান হতে হলে অবশ্যই তাকে উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন হতে হবে ।

পেজ সূচিপত্র: জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয় কি তা সহজে জেনে নেই ।

জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয় কি 
জন্মের সময় শিশুর ওজন কত হওয়া উচিত
নবজাতক শিশুর ওজন বৃদ্ধির উপায়
বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির কৌশল
জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয়  কৌশল
শিশুর ওজন বৃদ্ধির ক্যালরি কৌশল
জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয়  ও পরিচর্যা
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয়
কম ওজনের শিশুর সঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে
শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সঠিক খেয়াল রাখতে হবে

জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয়  কি

শিশুর ওজন কম হলে করনীয় কি? বিশেষজ্ঞদের মতে পাঁচ থেকে ছয় বছরের শিশুদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় সুষম খাদ্য রাখতে হবে এবং বাচ্চার দিকে সঠিক ভাবে নজর রাখতে হবে। কেননা এই সময় বাচ্চাদের প্রচুর ক্যালরি দরকার হয়। সুতরাং সেই দিক দিয়ে চিন্তা করে বাচ্চাকে প্রতিদিন বিভিন্ন রকম খাবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাওয়াতে হবে যাতে করে বাচ্চার খাবারের ব্যাপারে একঘেয়ামি দূর হয় এবং শিশুর ওজন কম সে দিক দিয়ে বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞরা কম ওজনের শিশুকে, ওজন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন রকম পরামর্শ প্রদান করেছেন। যা শিশুর ওজন বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ

বিশেষজ্ঞরা কম ওজনের শিশুর ওজন বৃদ্ধির জন্য যেসব গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেছেন তা নিম্নরূপঃ
  • শিশুর ওজন কম হলে করনীয় হচ্ছ খাবার বারবার দেওয়া যাবে না
  • কম ওজনের শিশুকে সর্বদা সুষমা খাদ্য দিতে হবে
  • কম ওজনের শিশুকে খাবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দিতে হবে
  • শিশুর খাবার আকর্ষণীয় ভাবে  তৈরি করতে হবে
  • কম ওজনের শিশুকে খাবারের ব্যাপারে আগ্রহ তৈরি করা।

আরো পরুনঃ রূপচর্চা বৃদ্ধিতে কিভাবে নিম পাতা ব্যবহার করা হয়

জন্মের সময় শিশুর ওজন কত হওয়া উচিত

কম ওজনের শিশুকে প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার প্রদান করতে হবে এবং তার শরীরের দিকে সবসময় নজর রাখতে হবে ।সে প্রতিদিন কি পরিমান স্বাস্থ্যকর খাবার পাচ্ছে সে বিষয়টা ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে । স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে তার তালিকায় যেগুলো রাখতে হবে যেমন- পনির, বাটার মিল্ক, বাদাম , দুধ ,ডিম ইত্যাদি।

কম ওজনের শিশুর খাবার যথাযথ প্রদানের সাথে সাথে ক্যালোরি বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা প্রতিদিন সঠিক ক্যালরি পাচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে এবং এবং সাথে সাথে বাচ্চার শারীরিক গঠনের দিক খেয়াল রাখতে হবে।সাথে সাথে আমাদের জানতে হবে, গর্ভ অবস্থায় বাচ্চা ওজন কম হওয়ার কারণ কি এবং জন্মের সময় শিশুর জন্য কত হওয়া উচিত। তাছাড়া আরো জানতে হবে শিশুর ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধির উপায় কি?

কম ওজনের শিশুর সঠিক ক্যালোরি গ্রহণের ব্যাপারে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
  • শিশুর ওজন কম হলে করনীয় হচ্ছ সঠিকভাবে ক্যালোরি দিতে হবে
  • শিশু ক্যালোরি গ্রহণ করে  বার্ন করতে পারছে কিনা
  • শিশু ক্যালোরি গ্রহণ করে তার শ্বসন করতে পারছে কিনা, ইত্যাদি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

নবজাতক শিশুর ওজন বৃদ্ধির উপায়

শিশু তথা সমগ্র মানব জাতির জন্য প্যাকেটজাত খাবার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এইসব খাবার প্লাস্টিকের প্যাকেটে সরবরাহ করা থাকে, যা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কেননা যে প্যাকেটে প্যাকেট জাত করা হয় সেটা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর ও নিম্নমানের একটি প্লাস্টিক। যা শিশুর বিভিন্ন রোগে ও অসুখ-বিসুখের উৎপত্তিস্থল বলা যেতে পারে।

কাজেই আমরা বলতে পারি শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে ব্যাহত ও পুষ্টির অভাবের কারণ হতে পারে,এই প্যাকেটের জাত খাবার । যার কারণে শিশু বিভিন্ন রকম অসুখ ও পুষ্টিহীনতায় ভোগে ।এমনকি ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রকমের চর্মরোগ ও পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদের জানতে হবে বয়স অনুযায়ী বাঁচার ওজন কত হওয়া উচিত।

কম ওজনের শিশুরআরো কিছু সমস্যা প্রতিমান হয় নিম্নে প্রদত্ত
  • শিশুর মধ্যে স্বাদ ও গন্ধের অভাব দেখা দেয়, যার কারনে শিশু খেতে পায় না
  • শিশুর মধ্যে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়, যার কোন শিশু অপুষ্টিহীনতায় ভোগে
  • কৃত্রিম রঙের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করা হয় ,যা চর্মরোগ সহ  ক্যান্সার পর্যন্তহয়ে থাকে
  • প্যাকেট খাবারের চিনি ও লবণের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির কৌশল

কম ওজনের শিশুকে কিভাবে ওজন বৃদ্ধি করতে হবে সে বিষয় সম্পর্কে পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে। তবে একটি বিষয় না বললেই নয় সেটা হচ্ছে শিশুর পুষ্টির বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব খেয়াল রাখতে হবে। সে তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিমাণ মতো পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে কিনা?
আর যদি সঠিক পুষ্টিকর খাবার না পাই, তাহলে যেগুলো খাবারে বেশিপুষ্টি রয়েছে সে বিষয়গুলোর দিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সেগুলো খাবার শিশুকে দিতে হবে।পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে অনেক খাবার হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ডাল, দুধ ,তৈলাক্ত মাছ, বিভিন্ন রকমের ফলমূল ইত্যাদি।সুতরাং শিশুর ওজন কম হলে করনীয়  শিশুর খাবারের দিকে প্রতিনিয়ত  রাখতে হবে এবং যাতে করে তার শরীর অনুসারে সঠিক খাবার পেয়ে থাকে।

জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয় কৌশল

জাঙ্ক ফুড এমন এক ধরনের খাবার যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং পুষ্টির দিক দিয়ে খুবই দারিদ্র হিসেবে বিবেচিত। জাঙ্ক ফুড  শিশুর শরীরের জন্য  খুবই ক্ষতিকর যা আমরা প্রতিনিয়ত শিশুকে দিয়ে থাকি ইচ্ছাই অনিচ্ছায় যেগুলো শিশু খেয়ে থাকে। এসব খাবার প্রচুর পরিমাণে ভেজাল রয়েছে যা দ্বারা শিশু ওজন বৃদ্ধিতে ব্যাহত ঘটে এবং উচ্চতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করে।

তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে যেগুলো শিশু জাঙ্ক ফুড খেয়ে থাকে সেগুলো তাদেরকে বুঝিয়ে ঐসব খাবার থেকে বিরত রাখতে হবে। জাঙ্ক ফুড  মূলত রাস্তার আশেপাশে পাওয়া যায়,এগুলো প্রতিনিয়ত  শিশু খেয়ে থাকে এগুলো থেকে তাদেরকে অবশ্যই দূরে রাখতে হবে এবং এ বিষয়ে প্রত্যেক অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে , যাতে করে তারা এসব খাবার গ্রহণ না করতে পারে।

যেসব খাবার জাঙ্ক ফুড হিসেবে ঘোষিত হয় নিম্নে প্রদত্ত।
  • রাস্তার পাশে ঝুলানো বিভিন্ন ধরনের চিপস
  • বিভিন্ন ধরনের সফট ড্রিঙ্ক
  • বিভিন্ন ধরনের বার্গার বা সোডা
  • ক্যান্ডি চকলেট কেক পেষটি
  •  পিজা ইত্যাদি

জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয় 

শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে ফলের ভূমিকা অপরিশীম প্রতিনিয়ত ফল খাওয়ার মাধ্যমে শিশুর ওজন বৃদ্ধি  এবং পুষ্টি নিশ্চিত হয়ে থাকে যার কারণে শিশুর উচ্চতা ওজন বৃদ্ধি পায়, সাথে সাথে শক্তিও বৃদ্ধি পায়। ফলমূলের মাধ্যমে শিশুর শরীরের সঠিক গঠন তৈরি হয়. উচ্চতা বৃদ্ধি পায় ,ওজন বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি। এছাড়া ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, মিনারের, ফাইবার, আন্টি অক্সিডেন্ট ইত্যাদি যা শিশুর স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধি উন্নত করতে সহায়তা করে।

 শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে ফলমূলের ভূমিকা
  • শিশুর ভিটামিন পটাশিয়াম ও পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে
  • ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে
  • ফলের মধ্যে ব্যস্তর ক্যালরি থাকে যা ওজন বৃদ্ধি করে 
  • এছাড়া ফলের মধ্যে যেসব উপাদান রয়েছে তা শিশুর মস্তিষ্ক ও হাড়  আরো উন্নতি করে।

কম ওজনের শিশুকে প্রয়োজনমত বুকের দুধ পান করাতে হবে

শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে মায়ের বুকের দুধের কোন তুলনা নেই। বুকের দুধ শুধুমাত্র ওজন বৃদ্ধি নয় শিশুর সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেসব বাচ্চা ছোটবেলা থেকে মায়ের বুকের দুধ সঠিক ভাবে পেয়ে থাকে ,সেসব বাচ্চা ওজন বৃদ্ধি উচ্চতা সঠিকভাবে হয়ে থাকে। কাজেই ওজন বৃদ্ধিতে মায়ের বুকের দুধের কোন বিকল্প নেই।
এছাড়া বুকের দুধ প্রোটিন চর্বি ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান থাকে যা শিশুর ওজন বৃদ্ধি ও সুস্থ বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া আমাদের জানতে হবে নবজাতক শিশুর ওজন বৃদ্ধির উপায় এবং দু মাসের শিশু ওজন কত হওয়া উচিত।

মায়ের বুকের দুধ ওজন বৃদ্ধিতে যেসব ভূমিকা রাখে নিম্মে তা প্রদত্ত।
  • ওজন বৃদ্ধিতে দুধ পুষ্টির সমাহার হিসেবে কাজ করে
  • বুকের দুধ ওজন বাড়ার সাথে সাথে হজম প্রক্রিয়া ও পেটের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে
  • শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে বুকের দুধ ক্যালরির উৎপত্তি হিসেবে কাজ করে
  • বুকের দুধ শিশুর ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি হরমোন বৃদ্ধি করে থাকে যা শিশুর বৃদ্ধি বিকাশ সাহায্য করে।

কম ওজনের শিশুর সঠিক ভাবে যত্ন নিতে হবে 

কম ওজনের শিশুর সঠিক যত্নের মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি করা যায়। শিশুদের মাঝে মাঝে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তার শরীর গ্রোথ সঠিক হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সঠিকভাবে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে শিশুর ওজন বৃদ্ধি করা যায়।
এছাড়া শিশুর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে লক্ষ্য রেখে তার সঠিক খাবার প্রদান করা। যেমন শিশুর হাত-পা পরিষ্কার আছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাতে করে সে অপরিষ্কার হাতে কোন কিছু না খায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

এছাড়া ও শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে যেসব বিষয়ের দিকে যত্ন নিতে হবে
  • প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছে কিনা? সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
  • শিশুর সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুম হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে
  •  শিশু যেন বাবা-মার কাছ থেকে মনে কষ্ট না পায় সে  দিকেখেয়াল রাখতে হবে
  • শিশুকে অবশ্যই ভালো পোশাক-পরিচ্ছেদ দিতে হবে

আমার শেষ কথাঃ

শিশুর ওজন কম হলে করনীয় হচ্ছে, শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে হয় ,তা সুন্দরভাবে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে ফলো করবেন এবং আপনার শিশুর যত্ন নেবেন। কেননা আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ শিশু সুন্দর হলে পরিবার সুন্দর হবে এবং পৃথিবীও সুন্দর লাগবে।

বিষয়গুলো পড়ে যদি, আপনি বা আপনার পরিবারের উপকৃত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ফলো করবেন । কেননা আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকি, যা আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য মাইলফলক হিসাবে কাজ করবে। পেজটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার ও কমেন্ট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url